শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনন্যসাধারণ বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রমাণ দিয়েছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখলে যে দেশের উন্নতি হয়, আমরা সেটাই প্রমাণ করেছি। আমি মনে করি, বিশ্বের জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথভাবে উদ্বোধনকালে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা থেকে শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোয় আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি, ব্যবসাবাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজীকরণসহ আরও অনেক কিছু আমরা করেছি। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আমাদের অর্জন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আরও সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ অবদান রাখবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্য ব্যয়বহুল উৎসের ওপর থেকে আমাদের নির্ভরতা কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করবে। আখাউড়া-আগরতলা রেলসংযোগ আমাদের দুদেশের জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। খুলনা-মোংলা বন্দর রেলসংযোগ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরকে বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সারাসরি যুক্ত করবে। এতে আমদানি করা কনটেইনারগুলো সহজে রেলের সাহায্যে দেশের উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহণ সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দুদেশের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক বাস্তব ফলাফল অর্জন করেছি। এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ সহজীকরণ প্রভৃতি।